35%
ছাড়
বিস্তারিত
খেজুর গুড় তৈরির প্রক্রিয়া
খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার পর তা বড় পাত্রে ছেকে পরিষ্কার করে সংরক্ষণ করা হয় । কিছুক্ষন পর চুলায় আগুন দেওয়া হয় এবং খেজুরের রস জ্বাল দেওয়া হয় ।জ্বাল দেয়ার এক পর্যায়ে রস ঘন হয়ে ঝোলা গুড়ে পরিণত হয়। ঝোলা গুড়কে আরও কিছুক্ষণ জ্বালের মাধ্যমে তৈরি করা হয় দানাদার গুড়। এবার দানা গুড়কে আরও কিছুক্ষণ জ্বালের মাধ্যমে বিজ দেওয়া হয়।এই বিজের মাধ্যমে তৈরি হয় পাটালি গুড়। পাটালি গুড় তৈরি করার জন্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘণ করার পরে তা ছাঁচে/নির্দিষ্ট আকারের পাত্রে ঢেলে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া হয়।
অন্যান্য গুড়ের চেয়ে খেজুরের গুড়ের স্থায়িত্ব কম বিধায় এর স্বাদ-গন্ধ দীর্ঘদিন অটুট রাখতে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কিছু সর্তকতা অবলম্বন করলে এই গুড় ১ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়।
সংরক্ষণের পদ্ধতি
১/ এমন একটি পাত্রে গুড় সংরক্ষন করতে হবে যেই পাত্রে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে । মাটির পাত্র কিংবা কাঁচের পাত্র হতে পারে । যদি বাতার অনুপ্রবেশ করে তবে বাতাসের প্রভাবে পাটালি গুড়ে কালো দাগ পড়তে পারে, তাতে ফাঙ্গাস পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
২/ স্বাভাবিক ভাবে গুড় ৬ মাস সংরক্ষণ করা যায়। তবে নরমাল ফ্রিজিং করলে এর থেকেও বেশি সময় ধরে খেতে পারবেন । মনে রাখতে হবে ভুলেও ডিপ ফ্রিজিং করা যাবে না । তাহলে খেজুরের ঘ্রাণ কিংবা স্বাদ দুটোই নষ্ট হতে পারে ।
৩/ ভেজা হাত অথবা ভেজা চামচ ব্যবহার করলে দ্রুত ফাঙ্গাস পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
খেজুর গুড়ের উপকারিতাঃ
1.আয়রনের ঘাটতি মেটায়ঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে নানা ধরনের অসুখে আক্রান্তও হতে দেখা যায়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, খেজুরের গুড়ে রয়েছে প্রচুর আয়রন। তাই খেজুরের গুড় খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। ফলে দূরে থাকে রক্তশূন্যতাসহ আয়রনের ঘাটতিজনিত যাবতীয় অসুখ।
2.নারীদের জন্য উপকারীঃ নারী এবং পুরুষের শরীরের গঠন এক নয়। নারীদের জন্য এমনকিছু পুষ্টির দরকার পড়ে, যা সব ধরনের খাবারে থাকে না। এক্ষেত্রে একটি উপকারী খাবার হতে পারে খেজুর গুড়। এতে থাকা নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান নারীদের বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে রাখে।
3.হজমের সমস্যা দূর করেঃ যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন অল্প করে খেজুরের গুড় খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যারা নিয়মিত খেজুরের গুড় খান, তারা এর সুফল পাচ্ছেন। এই গুড় আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশা, বদহজমের মতো অসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।
4.লিভার ভালো রাখেঃ যেসব খাবার লিভার ভালো রাখতে কাজ করে তার মধ্যে অন্যতম হলো খেজুর গুড়। এই গুড়ে থাকে প্রচুর সোডিয়াম ও পটাসিয়াম। এই দুই উপকারী উপাদান আমাদের পেশিকে শক্তিশালী করতে কাজ করে। নিয়মিত খেজুরের গুড় খেলে তা মেদ ঝরাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজ করে। সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখে উচ্চ রক্তচাপও।
5.ত্বক ভালো রাখেঃ শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? অবাক করা বিষয় হলেও সত্যি যে, খেজুর গুড় আপনার ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে। আপনি যদি মসৃণ ত্বক চান তবে নিয়মিত খেজুর গুড় খাবেন। এতে চেহারায় সহজে বয়সের ছাপ পড়বে না। ব্রণ ও ফুসকুড়ি দূর করতেও এই গুড় কার্যকরী। ত্বক সুন্দর থাকুক তা কে না চায়! তাহলে এবার প্রতিদিনের খাবারে যোগ করুন খেজুর গুড়।
সর্তকতাঃ খোলা বাজারে অধিকাংশই গুড়ের নামে বিক্রি হচ্ছে বিষ।যেখানে বিন্দু পরিমাণে খেজুর গাছের রস থাকে না।বিভিন্ন ধরণের হাইড্রোজ,ফিটকিরি,টেক্সটাইল ডাই,চুন,স্যাকারিন থাকে।যা থেকে মানবদেহে সৃষ্টি হয় মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা।যেহেতু গুড় ভাত-মাছের মত মৌলিক বা আবশ্যকীয় কোন খাদ্য নয়,তাই যদি এটি খেতেই হয় রাস্তার খোলা বাজার থেকে নিম্ন মানের বিষ না নিয়ে ন্যায্য দামে সঠিক জায়গা থেকে সংগ্রহ করুন।
Reviews (0)
Get specific details about this product from customers who own it.
This product has no reviews yet. Be the first one to write a review.